ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বারবার পার্টির আয়োজন করে বিপদ ডেকে এনেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর চারজন সহযোগী পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তারা। পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়র্টাস।
প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ তিন সহযোগী চিফ অব স্টাফ রোজেনফিল্ড, প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস, যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জ্যাক ডয়েল এবং তার প্রধান রাজনৈতিক কৌশলী মুনিরা মির্জা পদত্যাগ করেছেন।
রয়র্টাসের খবরে বলা হয়, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ফিলিপের শেষকৃত্যসম্পন্ন হওয়ার সময়ও ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করা হয়। আর সেটি ছিল বরিস জনসনের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জেমস স্ল্যাকের বিদায় উপলক্ষ্যে। সারাদেশে তখন ফিলিপের মৃত্যুতে জাতীয় শোক চলছিল। তবে এ ঘটনায় রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
তবে নিজ দলের লোকজন তো বটেই তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে গোটা দেশে। তার কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, এটি জনসনের প্রশাসনে পুনঃস্থাপনের সূচনা বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে সোমবার বরিস জনসন সরকারের প্রশাসনিক পদে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আইনপ্রণেতা স্টুয়ার্ট অ্যান্ডারসন এক টুইটার বার্তায় বলেন, শুক্রবার রাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পরিবর্তনটি ঘটতে শুরু করেছে এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর এই দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তার এই টু্ইটবার্তার পর পরই সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক পালনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের পার্টি করেন। ওই সময়ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে মদের পার্টির আয়োজন হয় ডাউনিং স্ট্রিটে, যখন সারাদেশে লকডাউন জারি ছিল। সম্প্রতি পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই ঘটনার জন্য বরিস জনসন বেশ কয়েকবার ক্ষমাও চেয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।